স্টাফ রির্পোটারঃ মোঃদেলোয়ার হোসেন। চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার ভোলাহাট উপজেলার খালেআলমপুর গ্রামে বাড়ী। সংসারে ৫জন সদস্য। ক্ষুদ্র ব্যবসা করেন উপজেলার মেডিকেল মোড়ে। চলছে সরকারী ঘোষণায় কড়া লকডাউন। দোকান খুলতে পারছেন না। বসে থাকছেন বন্ধ দোকানের সামনে। অসহায় অবস্থায় বসে থাকতে দেখে ছুটে গেলাম তার কাছে। জিজ্ঞেস করলাম তিনি একা বসে আছেন কেন? দেলোয়ার হোসেন বলেন,দেশে করোনা সংক্রমন ভয়াবহ ভাবে বেড়ে চলায় সরকার কঠিন লকডাউন দিয়েছেন। এতে দোকান বন্ধের নির্দেশ থাকায় খুলতে পারছি না বলে জানান তিনি। অপলোক দৃষ্টিতে দেলোয়ার জানান, করোনা সংক্রমন ভয়াবহ। স্বাস্থ্য সুরক্ষা মানা সবার দরকার। আমার বাড়ীতে ৫জন সদস্য তাদের খাওয়া-পরা দিতে হবে। সীমিত আয় দিয়ে কোন রকম চলে সংসার। এদিকে করোনাতে লকডাউন। দোকান বন্ধ রেখে আয় না থাকায় চরম হতাশায় দিন কাটছে। তিনি বলেন, এখন বোর ধানের ভরা সেচ মৌসুম। কৃষক জমিতে সেচ দিতে না পারলে ধানের উৎপাদন খুব কমে যাবে। কৃষকেরা গভীর নলকূপ থেকে পানি নিতে প্রিপেইড কার্ডের রির্চাজ করতে আমার কাছে আসেন। প্রতিদিন প্রায় ১’শ কৃষককে রির্চাজ দিতে হয়। দোকান বন্ধ থাকলে কৃষক আমাকে না পেয়ে রির্চাজ নিতে পারেন না। যার কারণে সরকারের স্বাস্থ্য বিধি মেনে বন্ধ দোকানের সামনে বসে কৃষককে রির্চাজ করে দিতে হচ্ছে। সেচের ভরা মৌসুমে ধানের জমিতে পানি দিতে না পারলে কৃষক চরম ক্ষতির মুখে পড়বে বলে জানান দেলোয়ার। তিনি আরো বলেন, তার মত আরো গভীর নলকূপের প্রিপেইড কার্ড রির্চাজ এজেন্ট ভোলাহাটে রয়েছেন। তাদের অবস্থাও আমার মত বলে জানান। এদিকে সোনাজোল বিলের বোর ধান চাষের কৃষক রুমু শাহ বলেন, প্রিপেইড কার্ডে রির্চাজ না করলে ধানের জমিতে পানি দেয়া যায় না। একদিন রির্চাজ করতে না পারাই জমিতে পানি দেয়া সম্ভব হয়নি। ফলে ধানের শীষ ফুটে বের হতে সময় লেগেছে। কৃষক আবু সালেক বলেন, আমার ৬ বিঘা জমিতে বোর ধান রয়েছে। এখন জমিতে পানি না থাকলে ফলন কম হবে। ধানে চাল হবে না। কিন্তু লকডাউনের জন্য কার্ড রির্চাজ করতে এজেন্টকে দোকানে না পাওয়ায় সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। কৃষকের বলেন, কার্ড রির্চাজ করতে কষ্টের মধ্যে পড়ছেন তারা। এ ব্যাপারে বরেন্দ্র বহুমূখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের উচ্চতর উপ-সহকারী প্রকৌশলি একেএম আব্দুল মঈন বলেন, করোনা সংক্রমনের জন্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে কৃষকদের কার্ড রির্চাজ করতে কিছুটা ঝুঁকির মুখে পড়তে হচ্ছে। কিন্তু তারপরও কৃষকেরা কষ্টের মধ্যদিয়ে বোর ধানের ভরা সেচ মৌসুমে জমিতে সেচ কাজ অব্যহত আছে। ফলনের ক্ষেত্রে তেমন প্রভাব পড়বে না। তবে কৃষকের কষ্ট হচ্ছে এই আর কি বলে জানান।