স্টাফ রিপোর্টারঃ সকেরা বেগম। বয়স ৫৫ বছর। নিজ সমস্যা নিয়ে দীর্ঘ পথ পায়ে হেঁটে আসেন গুরুদাসপুর থানায়। স্বামী মারা গেছেন অনেক দিন আগে। দুই ছেলে নিয়ে তার সংসার। এক ছেলে ভ্যান চালক আরেক ছেলে চা বিক্রেতা। ছেলেরা সুদের উপর টাকা নিয়ে পরিশোধ করতে না পেরে এলাকা ছাড়া। বাড়ি নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের মামুদপুর গ্রামে। বৃদ্ধা মৃত ইউসুফ আলীর স্ত্রী।
থানা সূত্রে জানা যায়, গুরুদাসপুর থানা থেকে বৃদ্ধার বাড়ির দুরুত্ব প্রায় ৫ কি.মি। স্বামী মারা যাওয়ার পরে অসহায় হয়ে পড়েন বৃদ্ধা সকেরা বেগম। সংসারে ছিলো দুই ছেলে। কিন্তু সুদের উপর টাকা নিয়ে পরিশোধ করতে না পেওে এলাকা ছাড়া দুই ছেলে। সুদের টাকার জন্য সুদ ব্যবসায়ীরা বাড়িতে এসে বৃদ্ধা মাকে প্রচন্ড চাপ সৃষ্টি করছিলেন। তার এ সমস্যা সমাধানের জন্যই বাড়ি থেকে পায়ে হেঁটে প্রতিকারের আশায় থানায় ছুটে আসেন। ছেলেদের ঋণ করা টাকার চাপ দেয়ায় চরম হতাশা গ্রস্থ হয়ে পড়েন বৃদ্ধা মা। ১৯ জুলাই রোববার বিকেলে থানায় এসে বিষয়টি জানান তিনি।
গুরুদাসপুর থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) মোজাহারুল ইসলাম জানান, সকেরা বেগমের ছেলেরা ঋণ করে বাড়ী থেকে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। তার দায়ভার সে নিতে পারে না। এমনিতেই অন্যের বাড়িতে কাজ করে কোন মতে তার সংসার চলে। এক দিন কাজ না করলে না খেয়ে থাকতে হয় তাকে। বৃদ্ধার কাছে ভ্যান ভাড়া ১০ টাকা না থাকার কারনে ৫ কি.মি পথ পায়ে হেঁটে থানায় এসেছিলেন। সকেরা বেগম তার সার্বিক সমস্যার কথা আমাকে বললে আমি তাৎক্ষনিক এএসআই হান্নানকে পাঠায় এবং সকেরা বেগমের বাড়িতে খাবার না থাকায় তার জন্য চাল, ডাল, আলু দিয়ে তাকে এমসআইকে সাথে করে তার বাড়িতে পাঠানো হয়েছে। এ অসহায় বৃদ্ধা মহিলার সার্বিক সমস্যা সমাধান করে এএসআই হান্নানকে দিয়ে নিরাপদে বাড়িতে তুলে দেওয়া হয়েছে। নাটোর পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা‘র দিক নির্দেশনায় মানবিক কাজে সব সময় প্রস্তুত রয়েছে গুরুদাসপুর থানা পুলিশ।